প্রকাশিত: ৬:৫৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২৩
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা না থাকায় লাম্পি আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে গরু।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোপালপুর উপজেলার হেমনগর, ঝাওয়াইল, হাদিরা, নগদা শিমলা ইউনিয়নে এই রোগ বেশি ছড়িয়েছে।
নগদা শিমলা ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের আব্দুল কাদের, বনমালী পূর্বপাড়ার শাফি, চরচতিলার আম্বিয়া বেগম ও আনোয়ার হোসেন, জোতবাগলের নজরুল সুতার ও আল আমিনের একটি করে গরু লাম্পি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
গোপালপুর উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (কৃত্রিম প্রজনন) আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ঝাওয়াইল ইউনিয়নের যতগুলো খামার বা গোয়ালে গিয়েছি তাতে বেশির ভাগ গরু আক্রান্ত দেখেছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮টি গরু মারা যাওয়ার খবর শুনেছি।
তিনি আরও বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা না থাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে কৃষক ও খামারিদের সচেতন করতে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে রোগটি সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে। আক্রান্ত প্রাণীকে পরিষ্কার স্থানে আলাদা মশারির ভেতর রাখতে বলা হচ্ছে। ভিটামিন সি/লেবু ও খাবার সোডা খাওয়ানোর পাশাপাশি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রানা মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মশা-মাছি থেকে রোগটি ছাড়াচ্ছে। এতে আক্রান্ত হচ্ছে শুধু গরু আর মহিষ। শুধু গোপালপুরে নয় সারাদেশে প্রায় ৬০ শতাংশ গরু লাম্পিতে আক্রান্ত। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগে বড় গরু আক্রান্ত বেশি হলেও এবার বাছুর আক্রান্তের হার বেশি। গোট পক্সের টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী সরকারি এই টিকার সাপ্লাই একটু কম। টাকা একটু বেশি লাগলেও বেসরকারিভাবে এই টিকা সংগ্রহ করা যাচ্ছে।
সারাদিন/০১ আগস্ট/এমবি